Top Ad unit 728 × 90

Header ADS

একজন বাংলাদেশী ব্যাংকারের কলকাতা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

আজকে অফিসের কাজে ঢাকা মিরপুরের একটা ব্যাংকে গিয়েছিলাম। দুপুর নাগাদ লাঞ্চ ব্রেক। ব্যাংকেরই একজন কর্মকর্তা তার কলকাতা ভ্রমনের গল্প করছিলেন।


বললেন সেখানে কাজ সেরে ফেরার দিন গেলাম শপিং করতে। গিয়ে দেখলাম বেশ ভালো ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। যা কিছু প্রয়োজন ঝটপট নিয়ে নিলাম। কাউন্টারে গিয়ে দেখলাম মিনিমাম বারোটা প্রোডাক্ট না নিলে ওই ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে না। এদিকে আমার হয়েছে সব মিলিয়ে সাতটা আইটেম।
মনটা খারাপ হয়ে গেল। ভাবছি কি করি। এর মধ্যে একজন এসে বললেন আপনি কি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন? আমি বললাম হ্যাঁ। কিন্তু তোমাদের এই নিয়মের জন্য আমি তো ডিসকাউন্ট টা পাচ্ছিনা। তখন সেই লোক বললো কি করলে তুমি খুশি হবে? আমি বললাম আমকে ডিসকাউন্ট টা নিয়ে দাও।
আমি কি কি নিয়েছি জানতে চাইল, দেখালাম। আমি একটা ব্যাগও নিয়েছিলাম। ওই ব্যাগটি ভালো কোয়ালিটি না বলে নিতে মানা করলো। এবং নিজেই আরেকটি ভালো ব্যাগ বাছাই করে দেয়। তারপর কাউন্টারে গিয়ে বারোটার ডিসকাউন্ট সাতটার জন্য কত আসে হিসেব করে দোকানদারকে কোনোভাবে ম্যানেজ করে নেয়।
এর মধ্যে আমার বন্ধু অন্য দোকান থেকে শপিং করে ফেরত আসলো। বললো কিরে এত অস্থির ব্যাগ কোত্থেকে নিলি। বললাম এখান থেকে, ডিসকাউন্টে। বললো কেমন সম্ভব? একজনরে পটাইয়া। বলে ভদ্রলোক থামলেন।

পাশ থেকে তার কলিগ বলে উঠলেন - ওরে বরিশাইল্লা, শুধু ফ্রি খাওয়ার ধান্দা করো?
ভদ্রলোক মোটেই দমবার পাত্র নন। তিনি পূর্ণ উদ্যমে নতুন গল্প শুরু করলেন।

আমি ওখানে প্রায়ই একটা চাচার দোকানে ফ্রেশ জুস খেতে যেতাম। তো সেদিনও গেলাম। চাচা দোকানে ছিলেন না। আমি খাওয়া শেষ করার পর তিনি আসলেন। চাচা বাংলা জানেন না। আবার আমি হিন্দি পারি না। তবু ভাঙ্গা ভাঙ্গা শব্দে চাচাকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম, আমি আজ দেশে ফিরে যাবো তাই চাচাকে খুঁজছিলাম। আবার কখন ফিরে আসি জানিনা।
চাচা এত খুশি হলেন যে আমায় বিল নিলেন না। আরো বললেন পরের বার আসলে দেখা করতে।



দাদাদের নিয়ে আমাদের দেশে অনেক মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে। তার কোনটার সাথে এই দুটো গল্পের কোন মিল খুঁজে পেলাম না।
আমি সত্যিই দুঃখিত!
একজন বাংলাদেশী ব্যাংকারের কলকাতা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা Reviewed by Hasanur Rahman on ডিসেম্বর ১৮, ২০২১ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.