জন্মদিনের চমক | ভালোবাসার এক প্রকার
অফিসের ব্যস্ততায় ডানে বামে তাকানোর সুযোগ নেই। মাহমুদ ফোন দিল দুপুর বেলা। ওর বাসায় যেতে হবে। ব্যস্ত আছি, পারবনা বললাম। তারপর আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ড আর পাসপোর্টের কপি চাইল হোয়ার্সএপে। বললো খুবই জরুরি বিষয়। ঘটনা কি জানতে চাইলাম। বলল পরে বলবে। অবশ্য এর মাঝে সে একটা গল্প শুনিয়ে দিল। যা হোক ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় ছিল না। লাঞ্চ আওয়ারে ডকুমেন্ট গুলা পাঠিয়ে দিলাম। ও বলল আমার যাওয়া লাগতে পারে। সে জানাবে।
বিকেলে আবার ফোন দিয়ে আসতে বলল।এবারও আমি না বললাম।কারণ আমার কাজ শেষ হতে হতে বেশ দেরী হবে।
সন্ধার পর আবার ফোন। এবার ব্ল্যাকমেইল ! বলল "আজকে যদি না আসিস তবে তোর সাথে আর জীবনেও কোনো কথা হবে না। এদিকে আমার সব শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর তুই একটু সময় বের করতে পারিস না।"
বড়ই বিপদের কথা। একদিকে অফিস, তারপর ফিরতে হবে বাসায়। এর মাঝে ঢুকে গেল সে। যাক যা হয় হবে। হাতের কাজ গুছিয়ে রেখে বাইক নিয়ে ছুটলাম ওর বাসায়।
গিয়ে দেখি কিসের কি সমস্যা। ওখানে তালহা আর এম্দাদুল্লাহ ও আছে। আমাকে বসতে বলে কেক নিয়ে আসলো। সে এক ইতিহাস। কেক খাওয়ার পর আসলো আস্ত পুডিং এবং নুডলস। পরে খেলাম চাক ভাঙ্গা মধু।
আমি সহ চারজন ছিলাম। কে যেন বলল, চলেন লুডু খেলি। আহা, শেষে লুডু ও খেলতে হবে! যা হোক আবদার যখন করেছে বসা যাক। এদিকে আমাদের মধ্যে বয়সে সবচেয়ে ছোট এম্দাদুল্লাহ। তার ইচ্ছা মতো খেলা না গেলে 'খেলব না' বলে উঠে যাচ্ছিল।
আমাকে চমকে দেয়ার জন্য ছিল তাদের এ আয়োজন। এভাবেও ভালবাসা যায়।
খেলা শেষ। রাত কম হয়নি। বাসায় ফিরতে হবে।
পরে জানতে পারলাম, প্রথমে তাদের প্ল্যান ছিল আমাকে নিয়ে কোনো রেস্টুরেন্টে বসবে। খাওয়া হবে। এর মাঝে যার বাসা থেকে আগে কল আসবে, সে দিবে রেস্টুরেন্টের বিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের মাথায় শুভ বুদ্ধির উদয় হইছে। বুঝতে পারছে এগুলা দুষ্ট বুদ্ধি। এগুলা করা ঠিক না :P।

কোন মন্তব্য নেই: