আমরা কিভাবে শিখি
আমরা এখন জানি বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এর কিছুটা মিল রয়েছে। বাচ্চারা অনুকণপ্রিয়। তাদেরকে যে পরিবেশে রাখবেন , যা কিছু দেখাবেন বা তার সামনে যা করবেন তাই সে শিখে নেবে। অনেকেই বাচ্চাদেরকে কোনকিছু শিখানোর জন্য বল প্রয়োগ করে এমনকি শারীরিক শাস্তিও দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাচ্চা ওই বল প্রয়োগ করাটাই ভালো ভাবে শিখে নেয়। আপনি দশ বার না বলে একবার করে দেখান, শিখে নেবে। কখনো দেখা যায় বাচ্চাদের সামনে কোনো কাজ একবার করলেও তারা সেটা শিখে নিতে পারে। একবার শোনা কথাও মনে রাখতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় বিষয়টা এত সহজ নয়। কারণ তাদের মন না বলা শিখে নিয়েছে। তারা তা-ই একসেপ্ট বা এবজর্ব করে , যা তারা তাদের জন্য প্রয়জনীয় বা লাভজনক মনে করেন। কখনো কখনো কারো মন অহংকারী হয়ে উঠে। অন্যের কথা শুনতে নিজেকে ছোট মনে হয়। আসলে একটা মানুষের ধংস ডেকে আনার জন্য এই অহংকার খুবই কার্যকরী ভুমিকা রাখে। কিছু ক্ষেত্রে অলসতাও শিখতে না চাওয়ার জন্য দায়ী। এমনকি বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে একধরনের হিসেবী ভাব চলে আসে।যেটা যখন তখন শরীরের ক্যালরি খরচ করার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাড়ায়। আর এ ব্যাপারটাই অন্য দিক থেকে বলতে গেলে মানুষকে কিছুটা হলেও নতুন বিষয়ে উদ্দীপিত হতে নিরুত্সাহিত করে।
ইদানিং কিছু কিছু বাচ্চারাও লাভের হিসেবটা বেশ ভালো বুঝতে পারে। এটা হয়ত তাদের অতিরিক্ত শিখতে পারার ক্ষমতার কারণে হতে পারে। যেহেতু তারা খুব ভালো কপি করতে পারে। তাই আমাদের অলস আর হিসেবী স্টেপ গুলোও তারা আয়ত্তে নিয়ে নেয়।
তো যা বোঝা গেল আসলে আমরা শুধু সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে পারি। আর পারি সঠিক লোক বেছে নিতে। ভালো ছাত্ররাই ভালো রেজাল্ট করে। আপনি গরুকে মানুষ বানাতে পারেন না। মাছকে গাছে চড়াতে পারেন না। দশজন মানুষকে একটা লেকচার দেন, সবাই সমান ভাবে নিতে পারবে না। কেউ কেউ বিষয়টা একেবারেই নিতে পারবে না।
আমরা কাউকে শেখাতে পারি না।

agree with you
উত্তরমুছুন