চিন্তাভাবনার উন্নতি করুন
আমরা ভবিষ্যত দেখতে পাই না। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে পারি। অন্যভাবে বলতে গেলে আমরা ভবিষ্যত গড়তে পারি। আরো গভীরভাবে বলতে গেলে আমরা ন্যাচার এর কাছ থেকে ভবিষ্যত চেয়ে নিতে পারি। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কিভাবে চাই। আর কিভাবে এটা চাওয়া যায়? ন্যাচারের মূল ভাষা ইমোশন। আপনার ভিতর যে ইমোশন টা কাজ করছে ন্যাচার সেটাকেই আপনার চাওয়া হিসেবে ধরে নেবে। খুবই সহজ হিসেব। এর ব্যতিক্রম হওয়ার কোনো উপায় নেই।
যখন আপনার সময় ভালো যায়, সবকিছু আপনার অনুকূলে যায় তখন তো আপনার ইমোশন পজিটিভ থাকে। কিন্তু যখন খারাপ সময় যায় তখন কিভাবে পজিটিভ থাকবেন? উপায় আছে। আপনি চাইলেই সেটা সম্ভব।
তার জন্য আমাদেরকে সব সময় কৃতজ্ঞ থাকার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আপনি যত খারাপ অবস্থায় ই থাকেন না কেন। তার থেকেও খারাপ থাকতে পারতেন। অথবা অনেক গুলো খারাপের মাঝেও কিছু ভালো জিনিস থাকে, সেগুলোতে ফোকাস করতে পারেন। ধরেন এই করোনা কালীন সময়ে কত মানুষ করনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। আপনি অন্তত তাদের দলে নাই। এটা কি কৃতজ্ঞ থাকার মত একটা কারণ নয়?
আরেকটা কাজ হচ্ছে ক্ষমা করে দেয়ার গুন অর্জন করা। না আপনাকে মহামানব হতে বলছি না। আপনি নিজের ভালোর জন্যই অন্যকে ক্ষমা করে দেবেন। এটা আপনার মনের কষ্ট দূর করে দেবে। হতাশা ও ক্ষোভ দূর করে দেবে। মনে প্রশান্তি এনে দেবে। আর একটা প্রশান্ত মন নিয়ে আপনি যতটা কাজ করতে পারবেন, সেটা মানসিক অশান্তি নিয়ে কখনই সম্ভব নয়। তাছাড়া আপনার আমার সবার মধ্যেই বিভিন্ন ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। আর আমরা সবাই চাই স্রষ্টা আমাদের আমাদের ভুল কাজগুলো ক্ষমা করে দেন। কিন্তু আপনি নিজেই যখন অন্যকে ক্ষমা করতে না পারেন, তখন স্রষ্টার কাছ থেকে কিভাবে ক্ষম আসা করতে পারেন?
যে কোনো কাজ সফল হওয়ার জন্য দুটো জিনিস প্রয়োজন, আপনি আপনার শারীরিক এবং মানষিক পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে কাজটি করবেন। আর স্রষ্টার নিকট কাজটির সফলতার সাহায্য প্রার্থনা করবেন। অর্থাৎ প্রচন্ড আশাবাদী মন নিয়ে আপনাকে কাজে নামতে হবে। আর বিশ্বাস রাখতে হবে পরিপূর্ণ চেষ্টার পর যে ফল এসেছে সেটাই আপনার জন্য মঙ্গলজনক।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ এক কাজ করলেও মনের ভিতর চলে অন্য কিছু। ভালো ফলের জন্য পরিশ্রম করলেও মনে থাকে হতাশা, থাকে সংশয়। ভুল জিনিসের প্রতি ফোকাস করার কারণে সেই ভুল জিনিসগুলোই জীবনে আকৃষ্ট হতে থাকে। আর এই সংশয় ব্যর্থতা হতাশার চক্রে বন্ধী হয়ে পড়ে সিমাহীন সম্ভাবনা।
এই চক্র থেকে সাধারণ মানুষের বের হয়ে আসাটা প্রায় অসম্ভব। নিজের কর্মফলের জন্য পরিবার, সমাজ এবং কখনো কখনো স্রষ্টাকেও দোষারোপ করতে দেখা যায় এদের।
নিজের মধ্য থেকে অভিযোগ করার প্রবণতা দূর করুন। আশাবাদী হোন। সর্বপরি দৃষ্টিভঙ্গি বদলান। পজিটিভ হতে শিখুন। জীবনটা সফলতা আর প্রশান্তিতে ভরে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই: