চর্চায় সুবুদ্ধি, হোক আত্মার শুদ্ধি
সব মানুষেরই যুক্তি থাকে নিজের মত ।।
নিজের যুক্তি নিজের কাছে,
যত্নে স্নেহে বাড়ে বাঁচে,
পুত্র স্নেহে অন্ধ কোন রাজার মত -
কিন্তু আরও রাজা আছে !!
সন্তান আছে তাঁদেরও কাছে,
এ সব কথা ভাববে তুমি, সময় কখন ?? সময় কখন ??
ঠিক তাই। কন্ঠশিল্পী নচিকেতার সাথে কন্ঠ মিলিয়ে কথাটা আজ বলতে হচ্ছে। আজ নিজেকেই প্রশ্ন করতে হচ্ছে। আসলেই কি আমাদের ভাবার সময় আছে। আজ আমরা দৌড় শিখেছি। আমরা শিখেছি জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে আমাকে জিততে হবে। যেভাবেই হোক।
মানবতা সে তো বক্তৃতা সেমিনারে। আর ধর্ম তো সেই পুরনো। আমি আধুনিক, প্রতিনিয়ত হচ্ছি অত্যাধুনিক। আমি ভাইরাল হতে চাই। বলার মত একটা মুখ আছে যা খুশি তাই বলে দিচ্ছি। সহজলভ্য ইন্টারনেটের বদৌলতে সে কথা ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা পৃথিবী।
কথাটা চটকদার হলেই হচ্ছে। হুজুগে লোকজনের অভাব নেই। যাদের নিজের কোনো কাজ নেই। শুধু আছে বিনাপয়সায় চাকুরী। নানান ধরনের গুজব ভাইরাল করে বেড়ানো।
এদের অনেকেই শিক্ষিত হলেও সকলেই মুর্খ। তাই এদের এইসব অসামাজিক এবং অনৈতিক কাজকর্মে বাধা দিলেও সেটা তাদের বুঝে আসে না। আসলে তারা বুঝতে চায় না।
কোনো বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকা সত্যেও আমার কথাই ঠিক, আমার ব্যাখ্যাই ঠিক। আমাদের বেশির ভাগ মানুষের মাঝেই এই মন মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়। এটা একটা অহংকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
আমরা জানি অহংকার পতনের মূল। পতন তো ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। টের পান নি? নাকি স্বীকার করবেন না। স্বীকার করেন আর নাই করেন, ছাড় পাবেন না।
মুর্খের মত গোয়ার্তুমি না করে বাস্তবতাকে মেনে নেয়া উচিত। হাতে যেটুকু সময় আছে পৃথিবীর জন্য ভালো কিছু করে যেতে হবে। তর্কে জেতার অনুভুতি হোক আর ভাইরাল হওয়ার অনুভুতি এসব আপনার মনে সাময়িক আনন্দ দিতে পারে। কিন্তু এটা কোনভাবেই মানসিক প্রশান্তি দিতে পারে না। কারণ আপনি তো জানেন আপনি আসলে কি করছেন।
আর আপনার কর্মের দ্বারা প্রকৃতির যে ক্ষতি করছেন, সেটার প্রতিফল তো আপনাকে ভোগ করতেই হবে। আজ আপনি যা করছেন কাল সেটা আপনার কাছে ফেরত আসবে।
তো আজ থেকে শুরু হোক ভালো কিছু করা। প্রতিদিন অন্তত একটা ভালো কাজ। সেটা যত ছোট বা বড়ই হোক। সেটা কাউকে দেখানোর জন্য নয়। শুধু আত্মার প্রশান্তির জন্য। আত্মার শুদ্ধির জন্য।
কোন মন্তব্য নেই: