পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রোজায় পাবেন শারীরিক সুস্থতা
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় আতঙ্কের নাম কভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। আমরা জানি এ ভাইরাস থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। সোস্যাল ডিস্ট্যান্স বলেন আর মাস্ক বলেন কোনটাই ফুল প্রুফ না। এমনকি ভ্যাকসিন নেয়ার পরও করনায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এ ভাইরাসটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে আরো মারাত্মক শক্তিশালী রূপে।
এখন ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করার জন্য কি করা যেতে পারে? ডাক্তারের কাছে যাবেন? বিভিন্ন ঔষধ খাবেন? দামী দামী ফল খাবেন? সে আপনি খেতেই পারেন। কিন্তু আমি কি আপনাকে একটা সহজ উপায় বলে দিবো? চলুন দেখে নেয়া যাক সেটা কি।
রোজা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে। এটা আজকের দিনের পরীক্ষিত সত্য। জাপানি বিজ্ঞানী ইশিনোরি ওসিমি রোজার গুরুত্বকে ধর্মীয় গন্ডি থেকে বের করে এনেছেন। তিনি এটাকে বলছেন অটো ফেজি। তিনি এ আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কার ও পেয়েছেন।
তিনি তার গবেষনার দ্বারা প্রমান করেছেন, রোজা রাখার ফলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পায় যেটা ক্যান্সারের কোষকে পর্যন্ত ধংস করে ফেলতে সক্ষম হয়। অসাধারণ ! আমরা যেখানে ক্যান্সারের ভয়ে ভীত, সেখানে রোজার মত একটা পরীক্ষিত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আমাদের কাছে রয়েছে।
তো ক্যান্সার যেখানে ভালো হচ্ছে সেখানে অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর।
প্রশ্ন হচ্ছে আপনি আমি যেভাবে রোজা রাখি তাতে কি কাজ হবে? সম্ভাবনা খুবই কম। কেন? কারণ আপনি সারাদিন রোজা রাখলেন ঠিক ই। কিন্তু দিন শেষে পৃথিবীর সমস্ত কুখাদ্য় গুলো পেটে চালিয়ে দিলেন। না, এভাবে কাজ হবে না। আপনি হয়ত স্বাস্থকর খাবারই খেলেন। কিন্তু একবেলা বসে সারাদিনের খাবার খেয়ে চিতপটাং হয়ে রইলেন। তাতেও কাজ হবে না।
যখন এটা একটা মেডিসিন, তখন এটার তো কিছু নিয়ম ও থাকবেই। নিয়ম মেনে রোজা রাখুন। আপনি মুসলিম না হলে অটো ফেজি করুন। নিয়ম জানতে গুগল করুন। দু চারটা আর্টিকেল পড়ুন। দিনশেষে আপনারই তো লাভ।
পারবেন তো? সুস্থ থাকতে কে না চায়। মানুষকে সচেতন করার জন্য, বেশি বেশি পোস্টটি শেয়ার করুন। আপনার একটি শেয়ার একজন মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে।
ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময়ের জন্য।
কোন মন্তব্য নেই: